ঈদুল আজহা সামনে রেখে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্তে পুশ ইন, গরু চোরাচালান ও কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।
যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি বন্দর থানা-পুলিশকেও কোরবানির পশুর চামড়া পাচার করতে পারে, সন্দেহভাজন এমন ব্যক্তিদের তালিকা করে তাঁদের ওপর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোরবানির ঈদে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিশেষ ঋণ দিতে বরাবরের মতো এবারও অনাগ্রহ দেখিয়েছে ব্যাংকগুলো। মাত্র ২৩২ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে ৯টি ব্যাংক। পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাবে চামড়া সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘কোরবানির পশুর চামড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ। এটি সঠিকভাবে সংগ্রহ করে ট্যানারি শিল্পে সরবরাহ করলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখা সম্ভব। এ জন্য ধর্মীয় নেতা, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’
আসন্ন কোরবানির ঈদে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা এবং ছাগলে ২ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে সরকার। পাশাপাশি ঢাকায় ছোট গরুর একটি চামড়ার সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা, আর ঢাকার বাইরে ১ হাজার ১৫০ টাকা।
চামড়াশিল্পের কাঙ্ক্ষিত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, এই শিল্প এখন পর্যন্ত নানা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হওয়ায় নীতিগত সমন্বয় ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাই দ্রুত এই শিল্পকে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে ট্যানারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয় ছিল। এর আওতায় হেমায়েতপুরে একটি ‘কমপ্লায়েন্ট’ বা মানসম্মত চামড়াশিল্প নগর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০৩ সালে। কিন্তু প্রকল্পটি যথাসময়ে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়নি।
বিশ্বের ২৬টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ দেশে বিনিয়োগ হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আসিয়ান দেশগুলোর বাজার সুবিধা এ দেশ থেকে ব্যবহার করা যাবে। বিনিয়োগে আগ্রহী মিসরের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ দেশে আসলে, বিনিয়োগ সুযোগ আরও বাড়বে...
দেশের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার বাজার যশোরের রাজারহাট। ঈদ-পরবর্তী দ্বিতীয় হাট ছিল গতকাল শনিবার। প্রথম দিনের চেয়ে জমজমাট হলেও চামড়ার দাম নিয়ে হতাশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত দামের তুলনায় কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা, পুঁজিও উঠবে না। তবে আড়তদারেরা বলছেন, তাঁরা উপ
বাজারে ফড়িয়া, মৌসুমি ব্যবসায়ী, আড়তদার, ট্যানারি মালিক নানা সমিতি, ফেডারেশনের পরিচয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন। তাঁদের কথা শুনে মনে হয় ব্যাংকগুলো তাঁদের কেন টাকার ভল্ট খুলে দিচ্ছে না, অতীত দায়দেনা কেন মাফ করে দিচ্ছে না! তাহলেই নাকি তাঁরা এটিকে একটি শিল্পে পরিণত করতে পারবেন।
সাভারে বিসিক চামড়াশিল্প নগরীর সিইটিপি পুরোপুরি প্রস্তুত এবং তা কার্যকর। আর অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের চামড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। এ তথ্য জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরের বিসিক চামড়াশিল্প নগরী পরিদর্শনক
শহিদুল ইসলাম লেদ ব্যবসায়ী। তবে অনেক বছর ধরেই কোরবানির ঈদের দিন চামড়া কেনেন। তারপর কাঁচা সেই চামড়া বিক্রি করেন। রাজশাহী নগরীর সপুরা এলাকার এই ব্যবসায়ীর দাবি, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিটি ঈদের চামড়ায় গুনতে হয়েছে লোকসান। তবে এবার লাভ করেছেন কিছুটা।
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের পবিত্র ঈদুল আজহায় চামড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব হয়েছে। চামড়া শিল্প খাতের উন্নয়নে সুপারিশ করা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্স এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবিড় মনিটরিং ও তদারকির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
ছাগলের চামড়ার ‘নামমাত্র’ মূল্যে বিক্রির আশা হারিয়ে ফেলেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মানুষ। অনেকে বলছেন, বিক্রি করতে না পারলে চামড়া মাটিতে পুঁতে রাখবেন। চামড়ার দাম এতই কম যে বিক্রি করতেও মন চাইছে না বলে জানিয়েছেন অনেকে
ব্যবসায়ীরা ন্যায্যমূল্য না পেলে যশোরের সীমান্তপথ দিয়ে ভারতে কোরবানি পশুর চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে পাচার রোধে আজ সোমবার থেকে ১০ দিন বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ছাড়া পুলিশের নজরদারি রয়েছে সীমান্তে।
বগুড়ায় কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে এবারও ধস নেমেছে। গরুর চামড়া ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। আর ছাগল এবং ভেড়ার চামড়া কেউ কিনছে না। চামড়া ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ট্যানারির মালিকদের কাছে তাঁদের পাওনা ৩২ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় এবার তাঁরা চামড়া ক্রয়ে বিনিয়োগ করেননি।
কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ে যেন কেউ সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান